ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

ফ্যাটি লিভার কি এবং ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আপনার যদি ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে,অনেক ওষুধ খাওয়ার পরেও কোন পরিবর্তন হয়নি সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন। তবে যদি আপনি এই আর্টিকেলে ক্লিক করে আসেন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। 
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
এবং আপনার ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়ে বিস্তারিত জেনে খুব সহজে লিভার থেকে ফ্যাট বাই বাই করে দিবেন। তবে সম্পূর্ণ বিষয় হলে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

ফ্যাটি লিভার কি

ফ্যাটি বর্তমানে যকৃতের সবচেয়ে বড় একটি মারাত্মক রোগ। যকৃতের চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে এই রোগটি হয়ে থাকে। অর্থাৎ শরীরে ৫ থেকে ১০ পার্সেন্ট বেশি চর্বি হলে তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়।অতিরিক্ত চর্বির কারণে লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এবং ধীরে ধীরে লিভারে কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, লিভার সিরোসিস এ আক্রান্ত করে।এমন কি লিভার ফেইলর ও হতে পারে। 

ফ্যাটি লিভার সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার আরেকটি নন অ্যালকোহল যুক্ত ফ্যাটি লিভার। আমরা প্রতিনিয়ত যে পানীয় অ্যালকোহল যুক্ত খাবার খায়,অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল যুক্ত খাবার খেলে অ্যালকোহল যুক্ত ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে

ফ্যাটি লিভার কেন হয়

ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়েআজকে আপনাদের জানাবো ফ্যাটি লিভার কেন হয়? অনেকেই এই প্রশ্ন করে থাকেন ফ্যাটি লিভার কি শরীরের জন্য ভালো হয়।তাদের জন্য মূলত আজকের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ বিষয় জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন। ফ্যাটি লিভার মূলত আমাদের বদ অভ্যাসের কারণে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। যারা অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল গ্রহণ করে থাকেন মূলত তাদেরই ফ্যাটি লিভারে পরিণত হয়।
কিন্তু যারা অ্যালকোহল যুক্ত খাবার অথবা মদ্যপান করেনা মূলত তাদেরও ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে অ্যালকোহল যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে দিন দিন ফ্যাটি লিভারে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তার পাশাপাশি নন ফ্যাটি লিভারের সংখ্যাও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার কারণ হলো অ্যালকোহল যুক্ত বা মধ্যপান করার কারণে এসব রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে নন ফ্যাটি লিভার হওয়ার কারণ সম্পর্কে নিচে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম।

  • অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান করার কারণে ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
  • উচ্চ রক্তচাপের কারণে শরীরে ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
  • যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে অনিয়ন্তিত ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে ফ্যাটি লিভার হয়।
  • অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হলে তার থেকে ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • বংশগত ভাবে অথবা পারিবারিক ফ্যাটি লিভার থাকার কারণেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
  • বিভিন্ন মেডিসিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে শরীরে ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
  • রক্তে অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারণে শরীরে ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
  • অতিরিক্ত কার্বোহাইড বা শর্করা জাতীয় খাবার খেলে শরীরে চর্বি জমে যায় যার ফলে ফ্যাটি লিভার হতে পারে। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড খেলে শরীরের চর্বি জমে এবং ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
  • বর্তমান সময়ে অ্যালকোহল যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে মানুষের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আরো বেড়ে চলেছে।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ

প্রথমে বা প্রাথমিক অবস্থায় ফ্যাটি লিভারের কোন লক্ষণ বা কোন দিক বোঝা যায় না। কিন্তু ফ্যাটি লিভারের সমস্যা যদি অনেকদিন ধরে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে লিভার সিরোসিসের দিকে যায়। তখন বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যে সকল লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন, যে আপনার ফ্যাটি লিভার হয়েছে তাহলে চলুন সেই লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

  • খাবারের অরুচি এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • পেট ব্যথা গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।
  • শরীরে অতিরিক্ত দুর্বল ও ক্লান্ত ভাব দেখা যায়।
  • পেট ফুলে যায়।
  • পেটের উপরের ডান দিকে ব্যাথা সৃষ্টি হয়।
  • বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।
  • শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ফুলে যেতে পারে।
  • পেটের ভুড়ি দিন দিন ক্রমাগত বাড়তে পারে। হাতের নখ এবং চোখ হলুদ বর্ণের বয়ে যায়।
  • প্রসাবের রং হলুদ বর্ণের হয়।
  • অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষুধা ও বৃদ্ধি পায়।
  • শরীরে হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া ফ্যাটি লিভার হওয়ার অন্যতম লক্ষণ।
  • শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
  • একটুতেই ক্লান্ত এবং অস্থিরতা দেখা দেয়।
  • মাথাব্যথা মাথা ঘোরা সম্ভাবনা দেখা যায়।

ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

বর্তমান সময়ে ফ্যাটি লিভার নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছেন। তাদের জন্য মূলত আজকের এই আর্টিকেল আপনারা খুব সহজে ফ্যাটি লিভার মুক্তি করতে পারবেন ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে। খুব অল্প বয়সেই মূলত ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে। ফ্যাটি লিভার হওয়ার পরে যকৃতে ক্রমাগত প্রদাহ সৃষ্টি করে এই প্রদাহ হতে হতে লিভার সিরোসিস হয়। তারপরে এক পর্যায় ক্যান্সারের রূপও নিতে পারে। এইজন্য ফ্যাটি লিভার রোধ করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো ডায়েট। 
আবার অনেকে প্রশ্ন করেন ফ্যাটি লিভার কি ভাল হয় হ্যাঁ অবশ্যই ফ্যাটি লিভার ভালো হয় তবে ফ্যাটি লিভার ভালো করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে এবং ব্যায়াম এবং ডায়েট করতে হবে। তার পাশাপাশি সুষম সবুজ শাকসবজি জাতীয় খাবার খেতে হবে।আর অ্যালকোহল যুক্ত খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। তাহলে ফ্যাটি লিভার ভালো করা সম্ভব। তাহলে চলুন ফ্যাটি লিভার ভালো করার ঘরোয়া উপায়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ফ্যাটি-লিভার-থেকে-মুক্তির-ঘরোয়া-উপায়-সম্পর্কে-জেনে-নিন
  • ফ্যাটি লিভার কমাতে সবুজ শাকসবজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কারণ সবুজ শাকসবজি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে চর্বি জমতে দেয় না যার ফলে ফ্যাটি লিভার দিনে দিনে কমতে থাকে। সবুজ শাকসবজির মধ্যে হলো ব্রকলি পালং শাক, ধনেপাতা, পুঁইশাক ইত্যাদি।
  • প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। শারীরিক সুস্থতা থাকার পানি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। লিভার ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। এতে লিভার ভালো থাকবেন লিভারে ফ্যাট বা চর্বি চলতে পারবে না। তাছাড়া কোমল পানি কোকাকোলা,মজো, পেপসি আরো বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল যুক্ত পানি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • শরীরকে ভালো ও সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই নিয়মিত সুষুম খাবার খাওয়া উচিত। এতে আমাদের শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান পায় শরীরের কোন ধরনের চর্বি চলতে পারে না। বেশি বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার ফলমূল শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে খুদা কম লাগবে যার ফলে লিভার ভালো থাকবে।
  • চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খুব বিপদজনক হবে। তাছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। চিনি জাতীয় খাবার খেলে লিভারের চর্বি জমে।
  • বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল যুক্ত খাবার এবং ধূমপান করা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। মূলত লিভারের সমস্যা বা ফ্যাটি লিভার হতে অ্যালকোহলের সাহায্য করে। ধীরে ধীরে যকৃতে প্রধান সৃষ্টি করে যার ফলে সিরোসিস এবং লিভার ফেইলর হতে পারে। ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে অ্যালকোহলযুক্ত খাবার এবং ধূমপান করা বন্ধ করুন।
  • যকৃতের প্রদাহ কমাতে আপেল সিডর ভিনেগার খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে। যকৃতের প্রধান কামাতে আপনি প্রতিদিন আপেল সিডর ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে এক চামচ দিয়ে পান করতে পারেন এতে লিভারের ফোলা এবং ফোলাভাব কমায়।
  • আমরা কমবেশি সবাই জানি সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন এবং চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে।লিভার কে ভালো রাখতে প্রতিদিন সকালে লেবু ও মধু মেশানো পানি খেতে পারেন লিভারের চর্বি কমে যাবে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি আরো বেশি দেখা যায় এইজন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরী। এর জন্য নিয়মিত ডায়াবেটিস চেকাপ এবং ডায়াবেটিস ঠিক রয়েছে কিনা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়।
  • রক্তের অত্যাধিক মাত্রায় কোলেস্টোরে থাকলে লিভারের ফ্যাট জমতে পারে।অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার খেলে শইরে কোলেস্টোলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সুষম খাদ্য অভ্যাস এবং ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। এতে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
  • রসুন শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করেন নয় বরং রসুনের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। রসুন খাওয়ার ফলে শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। রসুন খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। রসুন খাওয়ার ফলে সে অতিরিক্ত ওজন কমায় এজন্য চর্বি বা মেদ কমাতে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন। নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে লিভারের ফ্যাট জমতে দেয় না,এইজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনি রসুন যোগ করতে পারেন।
  • শরীরে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। তেমনি শরীর অতিরিক্ত ওজন হওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ না করার ফলে ফ্যাটি লিভার হতে পারে। এজন্য আপনার শরীরে বাড়তি ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর খুব উপকার হয়। আর বিশেষ করে ফ্যাটি লিভারে ব্যায়াম করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। ফ্যাটি লিভার কমাতে ব্যায়ামের কোন জুড়ি নেই। এবং লিভারের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। তবে ব্যায়াম করার পাশাপাশি শাড়ি পরিশ্রম বা হাটাহাটি করতে একদম ভুল করবেন না।
  • তাছাড়া প্রতিদিন চিয়াসিড খেতে পারেন। এটি শরীরে জন্য যেমন উপকারী তেমনি বাড়তি চর্বি জমতে দেয় না যার ফলে ধীরে ধীরে ওজন কমে আসে। শরীরে অতিরিক্ত ওজন না থাকলে লিভার ভালো থাকে।
সম্মানিত পাঠক, আশা করছি আপনারা ফ্যাটি লিভার মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে অবশ্যই এই উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারেন, তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয়

লিভারের কোষগুলোর মধ্যে চর্বি জমে যাওয়ার ফলে লিভারের রোগ হয়। এটি মূলত অ্যালকোহল গ্রহণকারী ব্যক্তিদের এ রোগ বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু বিশ্বে এমন অনেক লোক ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত।তবে অ্যালকোহল গ্রহণ না করার ফলে বিশেষ করে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা ডায়াবেটিস, শরীরে অতিরিক্ত ওজন, চর্বি বা মেদ তেলেভাজ অতিরিক্ত খাবার মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণ করার ফলে ফ্যাটি লিভারের এই রোগটি হয়ে থাকে। 

 ফ্যাটি লিভার হওয়ার আগে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয় দেখে বা বুঝে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার ফ্যাটি লিভার হয়েছে কিনা। আবার অনেকে প্রশ্ন করেন ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয়। এই রোগটির চিকিৎসা করা খুব সহজ নয়। তবে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে এর নিয়ম কানুন মেনে মদ্যপান অ্যালকোহল ধূমপান করার থেকে বিরত থেকে নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহণ করার ফলে নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

তাছাড়া ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করতে সবুজ শাকসবজি খাওয়ার জুড়ি মেলা ভার। কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা ও ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে। নিয়মিত প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলে শাকসবজি ফলমূল খাওয়ার ফলে লিভারের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। শুভ অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে ফ্যাটি লিভার থেকে রক্ষা পেতে পারেন। 
ফ্যাটি-লিভারের-লক্ষণ
এইজন্য ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সে নিয়মে খাবার গ্রহণ করা শারীর ব্যায়াম এবং ডাক্তারের কথা মতো ডায়েট করলে নিয়ম মতো চললে ফ্যাটি লিভার ভালো করা সম্ভব।

কোন কোন খাবার খেলে ফ্যাটি লিভার হয়

আপনারা কি জানেন ফ্যাটি লিভার হওয়ার আসল কারণ কি মূলত আমরাই ফ্যাটি লিভার হওয়ার কারণ। আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাবার অতিরিক্ত তেলেভাজা মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে চর্বি জমে। তাছাড়া চিনি যুক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।তাছাড়া অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় খাওয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি লিভারে করে। কায়িক শ্রম শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম না করার ফলে ধীরে ধীরে লিভারের চর্বি জমতে থাকে। যার ফলে এক সময় ফ্যাটি লিভার পরিণত হয়। আর এটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত হয়ে থাকলে যকৃতে সিসোসন বা প্রদাহ সৃষ্টি করে।

ফ্যাটি লিভার টেস্ট

ফ্যাটি লিভার সাধারণত শরীরে নীরব ঘাতক হয়ে থাকে। প্রথম পর্যায়ে এই রোগ গুলোর কোন লক্ষণ বোঝা যায় না। কিন্তু গুরুতর হওয়ার পর বেশ কিছু লক্ষণ বোঝা যায়। উপরে আমরা আলোচনা করেছি ফ্যাটি লিভার হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়। তাছাড়াও ফ্যাটি লিভার টেস্ট করার মাধ্যমেও এ রোগ নির্ণয় করা যায়। আসুন ফ্যাটি লিভার টেস্ট সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত সম্পর্কে জানানো হলো।

  • হেপাটিক ইলোস্ট্রোগ্রাফি ফাইব্রোস্কয়ানঃ এই পরীক্ষাটি একটি বিশেষ আল্ট্রাসনগ্রাফএর মাধ্যমে লিভারে কতখানি ক্ষতি হয়েছে। এবং লিভারের কোন কোন টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সম্পর্কে জানা যায়।
  • লিভার বায়োপাসিঃ এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে লেবার থেকে একটি টিস্যু নেয়া হয়। এবং তা থেকে লিভারের অসুস্থতা কেমন পরিমাপ করা হয়।
  • লিভার ইমেজিংঃ এম আর আই, আল্ট্রাসনোগ্রাফ,স্ক্যান, সিটি স্ক্যান ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগটি নির্ণয় করা যায়।
সম্মানিত পাঠক,আশা করছি আপনারা ফ্যাটি লিভার টেস্ট করার মাধ্যম সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। সাধারণত এ সকল টেস্ট করার ফলে লিভারের সকল রোগগুলো ধরা পড়ে। আশা করছি আপনারা এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে ধারণা পেয়েছে।

লেখকের মন্তব্য ফ্যাটি লিভার মুক্তির ঘরোয়া উপায়

প্রিয় পাঠক বিন্দু আপনারা এতক্ষণ ফ্যাটি লিভার কি ফ্যাটি লিভার কি ভাল হয়। ফ্যাটি লিভার ভালো করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনার ইতিমধ্যে জেনেছেন। তবে ফ্যাটি লিভার হওয়ার কারণও রয়েছে। যেসব ব্যক্তিরা অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল যুক্ত খাবার গ্রহণ করে তাদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া আরো নানা উপায়ে ফ্যাটি লিভার হতে পারে। আমরা হয়তো উপরোক্ত আলোচনা করার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে পেরেছি। 

নিয়মিত সুষুম খাবার খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম শারীরিক পরিশ্রম করলে শহরে চর্বি জমতে পারে না। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চললে ফ্যাটি লিভার নিরাময় করা সম্ভব। আর যদি ফ্যাটি লিভারের লক্ষণগুলো বুঝতে পারেন তাহলে খুব দ্রুতই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। তাছাড়াও ফ্যাটি লিভার টেস্ট করার মাধ্যমে এ রোগটি নির্ণয় করা যায়। 

উপরে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এমন নিত্য নতুন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আপনার মহামূল্যবান সময় নষ্ট করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জুথি আর্টস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url