বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ

আপনি কি বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহ। আপনি যদি আগ্রহ হয়ে থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজ এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে মায়ের বুকের দুধ ঘরোয়া উপায় বৃদ্ধি করা যায়। সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। সেই সাথে কি ওষুধ খেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে এ সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো। 
বুকের-দুধ-বৃদ্ধির-ঘরোয়া-উপায়-এবং-বুকের-দুধ-বৃদ্ধির-ঔষধ
পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনি বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। কোন খাবার খেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়। এবং কি কি কারনে বুকের দুধ শুকিয়ে যায় বুকের দুধ বৃদ্ধির বাংলার দোয়া এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ

বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ

একটি শিশুর জন্মের পরে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান খাদ্য হলো তার মায়ের বুকের দুধ। একজন শিশুর জন্মের পরে কমপক্ষে ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কেননা একটি বাচ্চার মেধা ও শারীরিক বিকাশে মায়ের বুকের দুধের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু অনেক সময় মায়েদের শরীরে কেমন যেন একটি পরিবর্তন আসে যার ফলে অনেক সময় মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধির হার অনেকাংশে কমে যায় এবং ধীরে ধীরে দুধ শুকিয়ে যায়। 
কেন এমন হয় তা সঠিক করে বলা খুবই মুশকিল। তবে আপনারা চাইলে বুকের দুধ কম উৎপন্ন হলে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে একজন মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় মায়ের বুকের দুধ কমে আসার ফলে বাজার থেকে দুধ কিনে খেতে শুরু করেন ভুলে ওই কাজটি করবেন না।প্রথমে বুকের দুধ ফেরানোর ঘরোয়া কিছু চেষ্টা করুন। এতেও কাজ না হলে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে যা একজন মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়াও বিভিন্ন খাবার-দাবারের মাধ্যমে বুকের দুধ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাছাড়াও একজন মায়ের প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা উচিত পানি পান করলে বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মনে রাখবেন একটি শিশুর জন্য তার মায়ের বুকের দুধ অত্যন্ত জরুরী। 

তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার সকল ধরনের প্রচেষ্টা করা। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে মূল আলোচনার বিষয় হলো বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে,সম্পূর্ণ বিষয় জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

একটি নবজাতক শিশুর জন্মের পরে কমপক্ষে ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ সর্বশ্রেষ্ঠ খাবার। একজন সন্তান জন্মের পর অনেক মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণ উৎপন্ন হয়। আবার অনেক মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয় না। মায়ের দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে না পেলে শিশুটি পুষ্টিরতায় ভুগে। মায়ের দুধের বিকল্প হিসাবে কোন খাবার নেই। 

এইজন্য বিকল্প কোন খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই মায়ের দুধ উৎপাদক বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে চলুন মায়ের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।এবং খাদ্য বিষয়ের পরিবর্তনে একটি মায়ের দুধ উৎপাদন ক্ষমতার বৃদ্ধি করতে পারে। মায়ের বুকের কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেসব বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

  • ঘন ঘন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানঃ নবজাতক শিশু যদি দুধ কম পায় সে ক্ষেত্রে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন না। বিকল্প কোন পথ বেছে নেওয়ার আগে চেষ্টা করুন দুধ বাড়ানোর দুধ কম বৃদ্ধি হলে বাচ্চাকে কিছুক্ষণ পরপর দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এতে বাচ্চা যত দুধ টানবে তত দুধ বেশি উৎপন্ন হবে। এইজন্য বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য বাচ্চাকে ঘনঘন দুধ খাওয়ান।
  • পর্যাপ্ত পরিমানে পানি ও তরল জাতীয় খাবারঃ আমরা কমবেশি সবাই জানি মায়ের বুকের দুধের বেশিরভাগ অংশই পানি। এইজন্য বাচ্চাকে দুধ পান করানোর মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়। যার ফলে ধীরে ধীরে দুধ কমে আসে। এর জন্য আপনি চেষ্টা করবেন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বা তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার। বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় মধ্যে এটি অন্যতম একটি উপায়। শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচানোর জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ ক্লাস পানি পান করার অভ্যাস করুন। বুকের দুধ উৎপাদনে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরী। তাছাড়াও তরল জাতীয় খাবার ফলের রস সুপ ইত্যাদি খেলে বুকের দুধ উৎপাদনে বৃদ্ধি পায়।
  • বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য রসুন খানঃ আমরা সবাই জানি রসুন আমাদের শরীর জন্য কতটা উপকারী। রসুন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং একজন গর্ভবতী মায়ের দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আপনি নিয়মিত প্রতিদিন সকালে কাঁচা দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে আপনার বুকের দুধ খুব দ্রুত উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিনঃএকজন প্রসূতি মায়ের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম বা ঘুম অত্যন্ত জরুরী। আর এই সময় কোন প্রকার মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত চিন্তা আপনার শরীর শুকিয়ে ফেলে যার ফলে বুকের দুধ উৎপাদনে ব্যাহত ঘটতে পারে।
  • বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালো জিরাঃ আপনারা কি জানেন কালোজিরা বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনার নবজাতক শিশু যদি দুধ কম পায় সে ক্ষেত্রে আপনি সকালে খালি পেটে শুধু কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা আপনি কালোজিরা পাউডার বানিয়ে সকালে এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই চামচ পাউডার মিশিয়ে পান করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাবেন। তাছাড়াও আপনি কালোজিরা ভর্তা বানিয়ে খেতে পারেন এতেও আপনার দুধ বৃদ্ধির সহায়ক হবে।
  • গরম দুধের জিরা গুড়া মিশিয়ে পান করুনঃ বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য খুব ভালো একটি খাবার। আপনারা চাইলে প্রতিদিন এক গ্লাস করে গরম দুধে এক চামচ জিরা গুড়া মিশিয়ে খেলে বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। আপনারা যদি বুকে দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় খুঁজে না পান তাহলে এই উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন আশা করছি ভালো ফলাফল পাবেন।
  • দুধ বৃদ্ধিতে ফল ও শাকসবজি খানঃ মায়ের বুকের দুধ উৎপাদনের জন্য ফল মূল্য শাকসবজি বেশি খাওয়া উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে রসালো ফলমূল খান যেমন ধরুন বেদেনা, পাকা পেঁপে,কমলালেবু, তরমুজ ইত্যাদি দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।এবং শাক সবজির মধ্যে লাউ, সজনে ডাটা, সজনে পাতা, গাজর, মিষ্টি কুমড়াইত্যাদি বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনি চেষ্টা করবেন প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় এই শাকসবজি এবং এই ফলমূল গুলো রাখতে তাহলে আপনার বুকের দুধ খুব সহজেই বৃদ্ধি পাবে।
  • বুকের দুধ বৃদ্ধিতে মরি মেথি ও তুলসীঃ একজন প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে মৌরি মেথি ও তুলসীর ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে এগুলোর মধ্যে যেকোনো দুইটা উপকরণ ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে খালি পেটে পান করুন। ঠিক একই ভাবে আপনি মৌরি ভিজিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়াও তুলসী পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে বুকের দুধ উৎপন্ন হতে সাহায্য করে।
  • ব্রেস্ট পাম্পঃ দুধ বৃদ্ধি করাতে ব্রেস্ট পাম্প কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রত্যেকবার শিশুকে দুধ খাওয়ানোর পরে দুই থেকে তিনবার ব্রেস্ট পাম্প করালে বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি হয়। তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্রেস্ট পাম্প করা সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।

বুকের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ

একটি শিশু জন্ম নেওয়ার পরে তার প্রধান খাদ্য উৎস হলো তার মায়ের বুকের দুধ। কিন্তু অনেক সময় মায়ের বুকের দুধ কম হয় বা বুকের দুধ আসে না। প্রথমে বুকের দুধ বৃদ্ধির করা উপায় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা ঘর উপায় গুলো জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও প্রথমে ঘরো উপায়ের মাধ্যমে দুধ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করুন এরপরে যদি না হয় তাহলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে দুধ বৃদ্ধির ঔষধ খাওয়ার কথা ভাববেন। 
আপনার বিস্তারিত সমস্যার কথা একজন চিকিৎসক বা ডাক্তারের কাছে খুলে পড়বেন। সাধারণত ডাক্তাররা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য যে সকল ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • অমিডন
  • মম বিট
  • ডন এ
  • ডোমাইট
  • পেরিডন
  • ল্যাগ টাম
  • ল্যাগটাগন
এ সকল ঔষধ একজন মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এ সকল ওষুধ খেলে একজন মায়ের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এবং খাবার খাওয়ার প্রতি রুচি বাড়ায়। একজন মায়ের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। যার ফলে সহজে বাচ্চা দুধ পায়। কিন্তু হ্যাঁ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ডোজ ও খাওয়ার নিয়ম নিশ্চিত করে নেওয়া উচিত। এতে আপনি সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাবেন পাবেন।

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির খাবার

মায়ের বুকের দুধ পান করা একটি শিশুর জন্য কতটা জরুরী এটা শুধু একজন চিকিৎসক কি বলতে পারবেন। মায়ের বুকের দুধ শিশুর শরীরে অ্যান্টি বডি হিসেবে কাজ করে।সেই সাথে শিশুকে দুধ পান করার মাধ্যমে মায়ের শরীরে বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে থাকে।শিশু দুধ পান করার ফলে একজন মায়ের অনেক উপকার হয় যেমন শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমে ব্রেস্ট ক্যান্সার নিরাময় করে এলার্জি সমস্যা দূর করে, ওভারিয়ান ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে। 
বুকের-দুধ-বৃদ্ধির-ঘরোয়া-উপায়-এবং-বুকের-দুধ-বৃদ্ধির-ঔষধ
তাই শিশু জন্মের পরে মায়ের বুকের দুধ কম উৎপন্ন হলে অথবা দুধ না আসলে অবশ্যই বুকের দুধ ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত। এটি যে কোনভাবেই আপনারা চাইলে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে।অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দুধ বৃদ্ধি করা উচিত। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবার যা আপনার ঘরে সব সময় থাকে। 

এ সকল খাবার দিও আপনি বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করাতে পারেন। তাহলে চলুন কোন কোন খাবার খেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করাতে সাহায্য করে সে বিষয় নিচে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো জেনে নিন।
  • মৌরি
  • মেথি
  • কালোজিরা
  • গরম মসলা
  • দুধ ও জিরার গুঁড়ো
  • গাজর
  • পানি
  • রসুন
  • সজনে ডাঁটা
  • সজনে পাতা
  • ছোলা
  • লাউ
  • পুঁইশাক
  • সবুজ শাকসবজি
  • পাকা পেঁপে
  • বেদেনা
  • বড় মাছ /ছোট মাছ
  • ছোট মুরগির বাচ্চা
  • খেজুর
  • বাদাম
  • তিল
  • বার্লি
  • ওটস
  • স্যুপ
  • মিষ্টি আলু
  • মিষ্টি কুমড়া
  • টমেটো
এ সকল খাবার খেলে মায়ের বুকের দুধ খুব সহজে বৃদ্ধি পায় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। যে সকল মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির সমস্যা তারা সকল খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করুন। তার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত ওষুধ সেবন করুন। মনে রাখবেন জন্মের পর কমপক্ষে একজন শিশুকে প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধই হলো শিশুর প্রধান খাদ্য।
মায়ের বুকের দুধ একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে এবং শারীরিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যেকোন উপায়ে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। আশা করছি আপনারা এই উপায় অবলম্বন করে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ খাওয়াতে পারবেন।

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া. বাংলা

পবিত্র কোরআন শরীফে আমাদের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দুধ পান করার সময় একটি দোয়া পাঠ করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা)থেকে বর্ণিত রাসুল সাঃ বলেছেন তোমাদের মধ্যে যদি কেউ দুধ পান করে থাকো তাহলে এই দোয়াটি পাঠ করবে।

বাংলা উচ্চারণঃ "আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিহি ওয়াজিদনা মিনহু"

অর্থ : হে আল্লাহ! এই খাবারে আমাদের বরকত দিন এবং তা বাড়িয়ে দিন। (আবু দাউদ ৩৭৩২)

সুতরাং এ দুয়ার অর্থ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে একজন মা যখন বাচ্চাকে দুধ পান করান তখন যদি এই দোয়া তিনি পড়েন এবং পড়ার পরে বাচ্চাকে দুধ পান করান তাহলে ইনশাআল্লাহ ওই মায়ের দুধ বৃদ্ধি হবে। তাছাড়াও আল্লাহর বিভিন্ন ধরনের গুনবাচক নাম রয়েছে যা সঠিক নিয়ম অনুসারে আমল করলে এর ফজিলত পাওয়া যায়। এ গুণবাচক নামটি নিয়মিত আমল করলে দুধ বৃদ্ধি পাবে।

সেই বিশেষ গুনবাচক নাম হলো " ইয়া মাতিনু" এক গ্লাস পানিতে আল্লাহর এই গুণবাচক নামটি "ইয়া মাতিনু " ১০০ বার পাঠ করে ওই পানিতে ফু দিয়ে অর্ধেক পানি পান করতে হবে আর বাকি অর্ধেক পানি দিয়ে নবজাতক শিশুর মায়ের স্তন ধুয়ে দিলে তাহলে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ ইনশাআল্লাহ বৃদ্ধি পাবে।তাছাড়াও আল্লাহর এই গুণবাচক নামটি,

একটি নতুন সিনামাটির বাটিতে জাফরানের কালি দিয়ে আরবি দিয়ে হে আল্লাহর গুণবাচক নামটি লিখে এক গ্লাস পানির মধ্যে দিয়ে ধুয়ে প্রসূতি মা যদি পান করে।তাহলে দুধ বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। এভাবে নিয়মিত সাত দিন এই আমলটি সঠিক নিয়মে করতে পারলে ইনশাল্লাহ গর্ভবতী মায়ের দুধ বৃদ্ধি পাবে। আশা করছি আপনি উপকৃত হবেন।
বুকের-দুধ-শুকিয়ে-যায়-কেন
সম্মানিত পাঠক, আশা করছি একজন প্রসূতি মায়ের দুধ বৃদ্ধি করার দোয়া ও আমল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবং এ নিয়ম অনুসরণ করলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন ইনশাল্লাহ।

বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন

বুকের দুধ বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় ও কি কি খাবার খেলে বুকে দুধ বৃদ্ধি পাবে। এবং কোন দোয়া বা আমল করলে বুকের দুধ বাড়ানো সম্ভব আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিন্তু আপনারা অনেকে প্রশ্ন করেন বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন? এই সম্পর্কে জানার জন্য তাহলে চলুন আমরা মূল আলোচনায় ফিরি কি কি কারনে বুকে দুধ শুকিয়ে যায় জেনে নিন। একজন মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে। 

তবে এটা বলা মুশকিল কি কারনে মুখের দুধ শুকিয়ে যায়। এক্ষেত্রে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।কারণ মায়ের দুধ বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি বা অন্যান্য কারণেও শুকিয়ে যেতে পারে। তবে বেশ কিছু কারণ রয়েছে যার মাধ্যমে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

  • শিশুর জন্মের পরে অনেক দেরি করে দুধ খাওয়ানো হয় যার ফলে দুধ শুকিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো এটি। এই জন্য চেষ্টা করবেন শিশু জন্মানোর পর পর দুধ চুষাতে এদের দুধ শুকানো সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
  • শিশুকে সময় মতো ঘনঘন দুধ না খাওয়ানোর ফলে এ সমস্যাটি দেখা দেয়। দুধ বৃদ্ধি হওয়ার ফলে ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়।
  • একজন প্রসূতি মা যদি টেনশন দুশ্চিন্তায় থাকেন সে ক্ষেত্রে দুধ শুকিয়ে যেতে পারে।
  • তাছাড়াও একজন প্রসূতি মা যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ এর একই রকম বুড়ি নিয়মিত খান সেক্ষেত্র দুধ শুকিয়ে যেতে পারে।
  • যে সকল মায়ের স্তন্য পান করায় সে সবকিছু সে সকল মায়ের পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা উচিত। কম পরিমানে পানি পান করলে দুধ শুকিয়ে যেতে পারে।
  • একজন প্রসূতি মায়ের বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার ফলেও বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে। এইজন্য যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন।
  • দুগ্ধদানকারী মা যদি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।সেক্ষেত্রে দুধ বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
  • এছাড়াও যদি একজন মায়ের আগে স্তনে কোন ধরনের সার্জারি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রেও দুধ কম আসবে।
  • আরেকটা বিষয় আমরা অনেকেই জানিনা দুদ্ধদানকারী মায়ের অবশ্যই প্রতিদিনের খাবারে ঝোল তরকারি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এতে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। আর আপনি যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার দুধ শুকিয়ে যাচ্ছে।
সম্মানিত পাঠক, আশা করছি আপনারা জানতে পেরেছেন কি কারণে একজন প্রসূতি মায়ের দুধ শুকিয়ে যায়। এগুলো এড়িয়ে চলুন তাহলে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

লেখকের মন্তব্য বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ

প্রিয় পাঠক বিন্দু আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে আশা করছি জানতে পেরেছেন। একজন মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সমূহ। এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি যেসব মায়েদের এই সমস্যাগুলো রয়েছে এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য খুব উপকারে আসবে। আপনাদের যদি আত্মীয় বন্ধুবান্ধব এরমধ্যে এমন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন এতে তার উপকার হবে। 

আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন। তাহলে পরবর্তী আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে মন দিয়ে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলে অনেক তথ্য আপনাদের মধ্যে শেয়ার করেছি। আপনার যদি কোন বিষয়ে মতামত থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। নিজের সুস্থ থাকুন এবং নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জুথি আর্টস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url