কোন গোলাপ জল ভালো- গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন

কোন গোলাপ জল সবচেয়ে ভালো সে সম্পর্কে অনেকে জানতে চান? তাছাড়াও কোন গোলাপ জল দিয়ে সহজে ফর্সা হওয়া যায়। এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে আপনি সঠিক আর্টিকেলে ক্লিক করেছেন। এই পুরো আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাবো কোন গোলাপ জল কোন স্কিনের জন্য ভালো গোলাপজল ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম মুখের ব্রণ বা অন্যান্য সমস্যা হলে গোলাপ জল দিয়ে কিভাবে মুখ ধুয়ে সহজেই সমস্যা দূর করবেন। 

সম্পূর্ণ বিষয় ভালোভাবে জানতে এবং বুঝতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে, তাহলে আপনি গোলাপ জল সম্পর্কে সম্পূর্ণ টিপস জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কোন গোলাপ জল ভালো- গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন

গোলাপ জলের উপকারিতা

গোলাপ জল এমন একটি পুষ্টিকর উপাদান যা শরীর এবং মনের প্রশান্তি জগাতে সাহায্য করে। আদিম কাল থেকেই গোলাপজলের ব্যবহার হয়ে আসছে, এটি ত্বক এবং শরীরের যত্নে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।গোলাপজলের বহুমুখী উপকারিতার জন্য দিন দিন সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাহলে চলুন জেনে আসি গোলাপজলে উপকারিতা সম্পর্কে।

ত্বকের যত্নে গোলাপ জলের ব্যবহারঃ আমরা ইতিমধ্যেই গোলাপজলদির উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। গোলাপ জল ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। নিয়মিত ত্বকে গোলাপ জল ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ত্বকে রুক্ষতা শুষ্কতার দূর করতে সাহায্য করে, এবং ত্বককে মসৃণ ও কোমল করে তোলে। ত্বকের ডিহাইট্রেশন কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করার ফলে ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে মশ্চারাইজার করে। এবং আমাদের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

গোলাপজল ত্বকের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করেঃ আপনারা জানলে অবাক হবেন গোলাপজল আমাদের শরীরে বিভিন্ন ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে যেমন ধরুন, ব্রণ, এলার্জি বিভিন্ন ধরনের চুলকানি রোধ করার পাশাপাশি এর যে ব্যথা সৃষ্টি হয়, নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করার ফলে এই ব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করে।কারণ গোলাপ জলে রয়েছে আন্টিইনফ্লেমেটারি উপাদান যা শরীরের যাবতীয় ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। তাছাড়াও শরীরের রোদে পোড়া বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

চোখ ভালো রাখতে গোলাপজলের ব্যবহারঃ আমরা সাধারণত বর্তমান সময়ই সারাদিনে কোন না কোন ডিভাইস ব্যবহার করে থাকি। যার কারণে আমাদের চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ধরুন চোখের জ্বালা করা চোখ ফুলে যাওয়া চোখের ঝাপসা দেখা। এই সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারি। 

নিয়মিত গোলাপজল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করলে চোখের এই সমস্যাগুলো দূর হবে। কারণ গোলাপজল প্রাকৃতিক একটি উপাদান যার কারণে চোখে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নিয়মিত গোলাপ জল দিয়ে চোখ ধুলে চোখে যাবতীয় সমস্যা দূর হবে এবং চোখ ভালো থাকবে।

চুলের যত্নে গোলাপ জলের ব্যবহারঃ চুল আমাদের শরীরে সৌন্দর্যের প্রতিক এজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত চুলের যত্ন নেওয়া। চুলকে মসৃণ ও কোমল এবং ঝলমল ভাব আনতে নিয়মিত গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপজল ব্যবহার করার ফলে চুলের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। চুলের রুক্ষতা শুষ্কতা দূর করে,এবং চুলে গোলাপজল ব্যবহার করার ফলে চুলের খুশকি দূর হয়। 

অনেকে আবার চুলকে স্টেট রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কন্ডিশনার বা অন্যান্য পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আপনি যদি নিয়মিত গোলাপ জল ব্যবহার করেন, তাহলে এগুলো করার কোন প্রয়োজন নেই, এমনিতেই আপনার চুল স্টেট থাকবে।

কোন গোলাপ জল ভালো

গোলাপ জল আমাদের ত্বক ও শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। তবে এই গোলাপ জলের গুণগত মান কৃত্তিম ভাবে নষ্ট করা হলে এটি আপনার ত্বক ও শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। এইজন্য গোলাপ জল ক্রয় করার আগে অবশ্যই গোলাপজল সম্পর্কে বা গুণগত মান সম্পর্কে ক্রয় করা উচিত। তাহলে চলুন বাজারে কোন গোলাপ জল আপনার জন্য উপযোগী এবং আপনার ত্বকের জন্য কোন গোলাপ জলটি ভালো হবে নিজেরাই নির্বাচন করে কিনতে পারবেন, 

সেই সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।সর্বপ্রথম গোলাপজলে প্রাকৃতিক উপকরণ থাকতে হবে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের গোলাপ জল পাওয়া যায় যার বেশিরভাগই প্রিজারভেটিভ রং এবং সুগন্ধ যুক্ত করা হয়ে থাকে।এইজন্য গোলাপজল ক্রয় করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে গোলাপ জলটি প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে বানানোর নাকি। এইজন্য গোলাপ জলের বোতলে কি কি উপকরণ দিয়ে বানানো রয়েছে সে বিষয় ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। 

প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে গোলাপজল তৈরি করা হলে ওই গোলাপজলের সুগন্ধ গারো ও তীব্র প্রকৃতির হয় না। বাজারে বেশ কিছু গোলাপ জল রয়েছে যেগুলোতে সুগন্ধ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকাল অথবা পারফিউম ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের গোলাপজল এড়িয়ে চলুন এটি আপনার ত্বকে এবং শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করবে।সব সময় হালকা সুগন্ধযুক্ত গোলাপজল ক্রয় করার চেষ্টা করুন, এতে আপনার ত্বক ও শরীরের জন্য ভালো হবে। 

কিছু কিছু গোলাপ জল আবার অ্যালোভেরা এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল যুক্ত করা হয়ে থাকে, এই গোলাপ জলটি আপনার ত্বকের শরীরের যত্নে অত্যন্ত উপকারী। তাছাড়াও আপনারা বাজারে বিভিন্ন দোকান দেখে যাচাই করে যে গোলাপ জলটির তুলনামূলকভাবে বাজারে চাহিদা বেশি এবং দামও বেশি চেষ্টা করবেন ওই গোলাপ জলটি নেওয়ার। কারণ এই গোলাপ জলটি থেকে সবাই ভালো ফলাফল পেয়েছে বলে, এর চাহিদা বেশি। 

তাছাড়া আপনারা যদি জানেন গোলাপজলে অ্যালোভেরা এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল যুক্ত থাকে, তাহলে অবশ্যই ওই গোলাপ জলটি ক্রয় করার চেষ্টা করুন। আমরা কমবেশি সবাই জানি অ্যালোভেরা এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। আর সেই উপকরণ যদি গোলাপ জলের সঙ্গে পাওয়া যায় তাহলে আপনার ত্বকের যত্নে সেরা একটি গোলাপ জল হবে। 

তাছাড়াও সবার স্কিনটন বা ত্ক একই রকম হয়না এজন্যই আপনারা ত্বকের মানান সই করে গোলাপ জল ক্রয় করবেন।আর অবশ্যই চেষ্টা করবেন বাহিরের গোলাপজল ত্বকে এবং শরীরে ব্যবহার করার। কারণ বাহিরের প্রোডাক্টে কোন ভেজাল থাকে না। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন কোন কোন গোলাপ জল আপনারা ব্যবহার করবেন, তার নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • Dabur Gulabari
  • Forest essentials
  • Kama Ayurveda
  • Patanjali rose water

গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া পদ্ধতি প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে। গোলাপ জল দিয়ে আদেও কি ফর্সা হওয়া যায় এই ভাবনাটা অনেকেই ভাবেন এটা একদম সত্যি যে সামান্য একটি উপকরণ দিয়ে আপনি ত্বক এবং শরীরের যত্ন নিতে পারেন।তবে অবশ্যই ভার্জিন গোলাপ জল হতে হবে তবে সম্ভব। গোলাপজলের এত এত উপকারীতা রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। 

গোলাপজল শুধু ত্বক ফর্সা করে না বরং ত্বকের কালচে দাগ ছোপ ছোপ দাগ রোদে পোড়া ভাব দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাছাড়াও গোলাপজলের সঙ্গে আরো কিছু ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করে আপনার স্কিনের উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন খুব সহজে। তাহলে চলুন জেনে আসি সেই উপকরণ গুলো কি কি এবং কিভাবে উপকরণগুলো ব্যবহার করতে হবে।

গোলাপজল ও মুলদানি মাটির ব্যবহারঃ গোলাপ জল ও মূলদানি মাটি ব্যবহার করে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারবেন। এইজন্য প্রথমে আপনাকে মুলদানী মাটি সংগ্রহ করতে হবে এরপরে মুলতানি মাটি মিহি করে গুড়ো করে নিতে হবে। তারপরে এর মধ্যে পরিমাণ মতো গোলাপ জল দিয়ে ভালোভাবে না নরম না শক্ত এমন করে প্যাকটি তৈরি করতে হবে। এভাবে নিয়মিত ত্বকে লাগালে আপনার ত্বকের তেল ও ময়লা দূর হবে।

গোলাপ জল ও কাঁচা দুধের ব্যবহারঃ গোলাপজল ও কাঁচা দুধ আপনার ত্বক ফর্সা করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এর জন্য আপনাকে প্রথমে কাঁচা দুধ ২ টেবিল চামচ পরিমাণে নিতে হবে তারপরে দুটো চা চামচ গোলাপ জল নিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে মিক্স করে পরিষ্কার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এরপরে পরিবর্তনটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। কারণ দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে এবং গোলাপজলে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান যার ফলে আপনার ত্বক দিনে দিনে কোমল ও মসৃণ এবং উজ্জ্বল হতে শুরু করবে।

গোলাপ জল ও লেবুর ব্যবহারঃ গোলাপজল ও লেবুর মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া যায়। এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটু লেবু নিয়ে সমস্ত রস বের করে নিতে হবে। তারপরে সমপরিমাণ গোলাপ জল দিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে তৈরি করে নিন। খেয়াল রাখবেন দুই মিশ্রণটি যেন সমপরিমাণ হয়, তারপর এই মিশ্রণটি সমস্ত মুখে দিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এরপরের নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আপনার মুখের সমস্ত ময়লা দূর হয়ে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করে তুলবে।

গোলাপ জল ও মধু এবং মুলদানি মাটির ব্যবহারঃ অনেকের অল্প বয়সে ত্বকে বয়সে চাপ পড়ে, দেখতে অনেক বয়স্ক লাগে। তারা চাইলেই এই উপকরণটি ব্যবহার করি আপনার ত্বকের বয়স কমিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে ফর্সা করতে পারেন। এইজন্য আপনাকে এক চামচ মুলদানি মাটি কয়েক ফোটা মধু এবং এক চামচ গোলাপজল নিয়ে মিক্স করে প্যাকটি বানিয়ে নিতে হবে। এরপরে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট দেখে হালকা ম্যাসেজ করে ধুয়ে ফেলুন এরপরই ম্যাজিক দেখতে পারবেন। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন দেখবেন ধীরে ধীরে আপনি প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হতে শুরু করবে।

গোলাপজল অ্যালোভেরা ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহারঃ ত্বকের যত্নে এই উপকরণটি জুরি মেলা ভার। ত্বকের যত্নেই উপকরণগুলো ব্যবহার করলে আপনার ত্বক বাচ্চাদের মতো সবট এবং কোমল হয়ে উঠবে। আপনারা চাইলে এই উপকরণ দিয়েও ত্বকের যত্ন নিতে পারে এই উপকরণগুলো প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বকের যত্নে খুব ভালো হবে।

ব্রণ দূর করতে গোলাপ জলের ব্যবহার

ব্রণ দূর করতে গোলাপজল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত গোলাপ জল ব্যবহার করার ফলে ব্রণ দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের অন্যান্য সমস্যাও দূর হয়। এর মূল কারন হলে গোলাপজলে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান। তাহলে চলুন গোলাপ জল দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় জেনে আসি।গোলাপ জলে রয়েছে,

এন্টিব্যাকটেরিয়াল আন্টি ইনফ্লেমিটার উপাদান। যা আমাদের মুখের যাবতীয় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।গোলাপজলে ব্যবহারের ফলে ত্বকে থাকা পি এইচ এর মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।যার ফলে ত্বকে ব্রণ হওয়ার থেকে প্রতিরোধ করে। অথবা নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করার কারণে ত্বকে ব্রণ হওয়া ব্যথা বা প্রদাহ সৃষ্টির রোধ করে,গোলাপজলের সঙ্গে চায়ের তেল মিশিয়ে ব্রণ দূর করা সম্ভব। 

তিন থেকে চার টেবিল চামচ গোলাপ জল এবং দুই থেকে তিন টেবিল চামচ চায়ের তেল মিশিয়ে তুলো দিয়ে ব্রণের স্থানে লাগালে ব্রণ দূর হয়। তাছাড়াও গোলাপ জল এবং অ্যালোভেরা জেল মিক্স করে ব্রণ হয় স্থানে লাগালে কয়েকদিনের মধ্যেই ব্রণ দূর হবে।তাছাড়াও ব্রণ হওয়া জায়গায় ব্যথা বা প্রদাহ কমে যাবে। আপনারা চাইলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে মুখের ব্রণ দূর করতে পারবেন।

ঘরোয়া উপায়ে গোলাপজল বানানোর পদ্ধতি

আপনারা বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত গোলাপ জল ব্যবহার না করে আপনারা নিজেরাই বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারবেন। একদম কেমিক্যাল মুক্ত যা আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাহলে চলুন গোলাপ জল বানানোর সঠিক উপায় সম্পর্কে জেনে আসি।
উপকরণঃ
  • প্রথমে কয়েকটি তরতাজা ফ্রেশ গোলাপ নিন।
  • তারপরে একটি পাতিলে গোলাপের পাপড়িগুলো ছড়িয়ে নিন।
  • তারপরে পাত্রের ভিতরে একটি ছোট বাটি দিয়ে ঢাকনা উল্টো করে দিতে হবে। প্রথমে একটু হাই পাওয়ারে জ্বাল দিতে হবে।এরপরে ২০ থেকে ২৫ মিনিট হালকা আঁচে জ্বাল দিতে হবে।
  • তাহলে ওই জ্বালে গোলাপ জল বাষ্প হয়ে বাটিতে জমা হবে।এভাবেই আপনারা প্রাকৃতিক গোলাপজল খুব সহজে পেয়ে যাবেন। যা আমাদের ত্বক এবং শরীরের যত্নে খুবই উপকারী একটি উপাদান।
সম্মানিত পাঠক, আপনারা খুব সহজে ঘরোয়া উপায়ে গোলাপ জল বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে উপকৃত হবে।

লেখকের মন্তব্য গোলাপ জল ব্যবহার করে ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

সম্মানিত পাঠক আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে গোলাপ জল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি কিভাবে গোলাপজল ব্যবহার করলে ন্যাচারাল ভাবে ফর্সা হওয়া যায়। গোলাপ জল বানানোর পদ্ধতি, কি কি উপকরণ দিয়ে গোলাপ জল ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা হয়। ত্বকের ব্রণ দূর করতে গোলাপজলের ব্যবহার উপকারিতা কোন কোন গোলাপ জল আমাদের ত্বকের জন্য ভালো হবে।

আশা করছি আপনার সকল বিষয়ে ভালো বুঝতে পেরেছি, আর্টিকেলটি পড়ে যদি উপকৃত হন, তাহলে আপনার পরিচিতদের শেয়ার করতে পারেন। আপনার মহামূল্যবান সময় নষ্ট করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জুথি আর্টস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url