পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব - ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর প্রতিকার না করতে পারলে পরিবেশের উপর ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে। পরিবেশের ওপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার রোধ করা সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলে ক্লিক করেছেন। 
পরিবেশের-উপর-প্লাস্টিকের-ক্ষতিকর-প্রভাব -ও-তার-প্রতিকার-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
কিভাবে এই ক্ষতিকর রোধ করবেন, সুফল ও কুফল সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে অবশ্যই উপকৃত হবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব -ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব

প্লাস্টিক হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি পদার্থ। যা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই প্লাস্টিক।যা বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তির আধুনিকতার ছোঁয়া। প্লাস্টিক থেকে তৈরি পেট্রোলিয়াম প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা থেকে। এই প্লাস্টিক সাধারণত হালকা বহনযোগ্য ও টেকসই প্রকৃতির হয়ে থাকে। কিন্তু এই প্লাস্টিক দিন দিন আমাদের পরিবেশের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। 
দিন দিন এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সঠিক ব্যবহার না করার ফলে পরিবেশে অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।এবং প্লাস্টিকের অপব্যবহার হচ্ছে যার ফলে আমাদের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সবারই উচিত প্লাস্টিকের সঠিক ব্যবহার করা এতে আমাদের পরিবেশেকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা।

পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার

প্ররিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তার প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটু উপাদান। কারণ প্লাস্টিক পচনশীল কোন বস্তু নয়। যা আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। এই কারণে মাটির উর্বরতা নষ্ট করে। যার কারনে দিন দিন ফসলের ফলন কমে যাচ্ছে। 

যা আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে দিন দিন ক্ষতি হচ্ছে। তাহলে চলুন জেনে নিন প্লাস্টিক পরিবেশের উপর কিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে চলুন জেনে আসি,প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য প্রভাব ফেলেঃ

  • বিভিন্ন প্লাস্টিক কল কারখান বর্জ্য পদার্থ নদী নালা সাগরে ফেলে দেয়। আর এই প্লাস্টিক থেকে নির্গত প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা মাইক্রোপ্লাস্টিক পানিতে মিশে যায়। তা বিভিন্ন মাছ অথবা প্রাণী খেয়ে ফেলে, যা আমাদের শরীরে চলে আসে। কিন্তু এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
  • প্লাস্টিকের বর্জ্য নদীর বা সাগরে গেলে ধীরে ধীরে মাছ বা অন্যান্য জলের প্রাণী তাদের প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, যার ফলে দিন দিন দেশে মাছে সংকট দেখা যাচ্ছে এবং অন্যান্য জলের প্রাণী বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
  • প্লাস্টিকের বর্জ্য মাটিতে মিশে মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে, যার ফলে ফসলি জমি গুলোতে ফসলের ফলন ভালো হয় না। দিন দিন অর্থনীতিতে ঘাটতি পরছে এক সময় এটি পরিবেশের উপর বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।
  • প্লাস্টিক বর্জ্য নদী নালা পুকুর ঘাটে প্লাস্টিক জমতে থাকে যা একসময় প্লাস্টিকের ঘূণ্যমান দ্বীপে পরিবর্তন হয়। আর এই ঘূণ্যমান প্লাস্টিকের দ্বীপে পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলছে, এতে জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠছে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে প্লাস্টিক ব্যবহারে বর্জ্য অনেক বেশি তৈরি হয়, যার কারণে প্লাস্টিকের বর্জ্য আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদকে দিন দিন ধ্বংস করে ফেলছেন।
  • প্লাস্টিকে থাকা বিসফেনল নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই আমাদের শরীরের হরমোনকে সমস্যা ফেলে, এবং নতুন হরমোন সৃষ্টি করে এবং হরমোনের ভারসাম্যতা নষ্ট করে।
  • প্লাস্টিকে থাকা মাইকোপ্লাস্টিক এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ থাকার কারণে নিয়মিত প্লাস্টিক ব্যবহার করলে ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি রোগ হয় সম্ভাবনা থাকে।
  • মাইক্রোপ্লাস্টিক এমন এক ধরনের উপাদান যা আমাদের পরিবেশের বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন খাবারের সাথে আমাদের শরীরে অগোচরে চলে আসে। যা ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে একটি বড় অসুখ বা বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে, যার ফলে আমরা শারীরিকভাবে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ি।
  • যেকোনো ধরনের খাবার আমরা প্লাস্টিকের পাত্রে রেখে খেলে আমাদের পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন ধরুন পেটব্যথা বদহজম গ্যাসের সমস্যা অথবা অনেক সময় ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আমরা এর কারণ খুঁজে পাই না, আসল কারণ হলো প্লাস্টিকের পাত্রে রেখে খাবার খেলে এমন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • প্লাস্টিক বর্জ্য অনেকদিন এক জায়গায় জমা থাকলে তার মধ্যে থেকে এক ধরনের দূষিত পদার্থ বের হয় যার ফলে বায়ু দূষিত হয়। এবং জলবায়ুর ওপর প্রভাব পড়ে অনেক সময় মানুষ শরীরে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রোধের প্রতিকার

  • প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমাদের প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হওয়া উচিত। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলা উচিত নয়, এতো পরিবেশে ভারসাম্যর ক্ষতি হয়।
  • আমাদের আশেপাশে নদী নালা পুকুরে প্লাস্টিক পড়ে থাকলে তা পরিষ্কার করার জন্য কর্মসূচি পালন করা উচিত।
  • আমাদের বাড়ির আশেপাশে যে কোন স্থানে প্লাস্টিক পড়ে থাকলে নিজ নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করা উচিত এতে পরিবেশের ভারসাম্য কিছুটা রক্ষা পায়।
  • আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত যে প্লাস্টিক আমাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর। এইজন্য যতটুক সম্ভব আমাদের নিজ দায়িত্বে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো উচিত। প্লাস্টিকের ব্যাগ প্লাস্টিকের বাসনপত্র অথবা আসবারপত্র ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত।
  • এর বিকল্প হিসেবে কাপড়ের স্টিল কাঠের জিনিসপত্র অথবা কাচের জিনিসপত্র ব্যবহার করুন। প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহার করা বন্ধ করুন এতে পরিবেশ ভালো থাকবে।
  • প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমাদের উচিত জৈব প্লাস্টিক ব্যবহার করা। এতে করে জৈব প্লাস্টিক পচনশীল হয়ে থাকে এবং তা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না।
  • আপনারা চাইলে প্লাস্টিকের জিনিস বর্জ্যে রূপান্তরিত না করে। সেগুলোকে রিসাইকেলিং বা পুনরায় আবার ব্যবহার করুন। এতে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।
  • প্লাস্টিক উৎপাদন প্লাস্টিক ব্যবহার এবং প্লাস্টিক বর্জ্য সম্পর্কে সরকারের কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বা আইন জারি করা উচিত তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে, এবং প্লাস্টিকের যথাযথ প্রয়োগ করা হবে।
  • প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে প্রতিটি মানুষের জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশে কি কি ক্ষতি করছে তা সকলের জানা দরকার। এতে করে প্লাস্টিকের ব্যবহার হয়তো একটু কমানো সম্ভব। এবং পরিবেশের ক্ষতি হবে না এমন জিনিস ব্যবহার করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করা উচিত।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করা কিছুটা সম্ভব হবে। সবাই একসাথে মিলেমিশে প্লাস্টিক বান্ধব পরিবেশ গড়ি। এবং নিজে সুস্থ থাকি, নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখি, 
এবং আশেপাশের নদী নালা পুকুর ঘাটকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখার চেষ্টা করি। এতে পরিবেশ পরিষ্কার থাকবে এবং পরিবেশের মানুষগুলো সুস্থ থাকবে। আশা করছি আপনারা প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের সুফল ও কুফল

আমরা এতক্ষণ পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন আমরা প্লাস্টিকের ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। প্লাস্টিকের ব্যবহারের যেমন সুফল রয়েছে তেমনি প্লাস্টিকের ব্যবহারে বেশ কিছু কুফলও রয়েছে তাহলে চলুন সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে আসি।
পরিবেশের-উপর-প্লাস্টিকের-ক্ষতিকর-প্রভাব -ও-তার-প্রতিকার-জানুন

প্লাস্টিক ব্যবহারের সুফল

  • প্লাস্টিক সহজলভ্য দ্রব্য হওয়ার কারণে একটি বানাতে খুব অল্প অর্থের প্রয়োজন হয় এবং একটি বিক্রিও হয় অল্প দামে।
  • প্লাস্টিকের আসবার পত্র দীর্ঘস্থায় হয় এবং বারবার ব্যবহার করলেও অনেকদিন চলে যায়।
  • প্লাস্টিকের জিনিসগুলো বিভিন্ন রং দিয়ে বিভিন্ন নকশা করা যায়। যার কারনে প্লাস্টিকের জিনিসগুলোর বাজারে অনেক চাহিদা থাকে।
  • বাতাসের আদ্রতায় খাবার নষ্ট হওয়া থেকে প্লাস্টিক রোধ করে। কারণ প্লাস্টিকের পাত্র গুলো এমন ডিজাইন করে বানানো হয় যা খাবার রাখলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  • প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ওজন তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হয়। যার কারনে প্লাস্টিকের আসবার পত্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া খুব সহজ হয়।
  • দৈনন্দিন কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহার দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এ কারণ হলো প্লাস্টিকের জিনিসপত্রের তুলনামূলকভাবে দাম অনেক কম।

প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল

  • প্লাস্টিকের ব্যবহার দিনে দিনে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদের পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।
  • প্লাস্টিক ব্যবহার করে এখানে সেখানে ফেলে রাখার কারণে আমাদের প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।
  • প্লাস্টিক ব্যবহার করে জীবজন্তু পশুপাখি এবং পানির ক্ষতি সম্ভাবনা বেড়ে চলেছে।
  • প্লাস্টিকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • আমাদের দেশে খুবই নিম্নমানের প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। যার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে।
  • প্লাস্টিকে অতিরিক্ত উপাদানে গ্রীনহাউজের গ্যাস নির্গত করে যা আমাদের জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে।
  • দিন দিন প্লাস্টিকের ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

প্লাস্টিক দূষণ ও ক্ষতিকর প্রভাব

আমাদের চারদিকে পরিবেশ দূষণের যতগুলো কারণ রয়েছে তার প্রথমে প্লাস্টিক আসে। আমাদের পরিবেশ দূষণ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে প্লাস্টিক। আর এই প্লাস্টিক দূষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে যা পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার দিন দিন এত বৃদ্ধি পাচ্ছে যে প্লাস্টিকের রিসাইকেল রিসাইকেলিং পুনরায় আবার ব্যবহার করা যায় না। 

যার ফলে প্লাস্টিক দূষিত বর্জ্য সঙ্গে না মিশে বর্জ্য সাথে সাথে এর ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে আমাদের পরিবেশে জীব জন্তু পশু পাখি গাছপালা এমনকি মানুষরাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। প্লাস্টিক যদি পুড়িয়ে ও ফেলা হয় প্লাস্টিক থেকে নানা ধরনের নির্গত গ্যাস বেরিয়ে আমাদের পরিবেশে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে,এবং মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে উঠছে। এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাস এর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

আমাদের যে পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য তারমধ্যে ১০০ ভাগের ১০ ভাগ পুরানো হয় আর বাকি ৯০ ভাগ বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়।যার ফলে বর্জ্যদূষণ হচ্ছে এবং পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এইজন্য আমাদের প্রত্যেকের সবাই সবার জায়গা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে, ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক গুলোকে পুড়িয়ে ফেলা উচিত। এতে কিছুটা হলেও পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রোধ করা সম্ভব। 
অবশ্যই প্লাস্টিক পোড়ানোর আগে সাবধানতা অবলম্বন করবেন যেমন ধরুন। নিরিবিলি পরিবেশে যেখানে মানুষের চলাচল খুব কম এবং অবশ্যই ভালো মানের মাক্স পড়ে প্লাস্টিক পুরাবেন এতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।

প্লাস্টিক ব্যবহারের সর্তকতা

প্লাস্টিক ব্যবহারের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এবং প্লাস্টিক দূষণ থেকে পরিবেশেকে রক্ষা করা উচিত। এতে করে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য কিছুটা রক্ষা হবে। এইজন্য অবশ্যই প্লাস্টিক ব্যবহার করার আগে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা অবশ্যই জরুরী। তাছাড়া প্লাস্টিকের ব্যবহার করার দিনে দিনে কমাতে হবে। এতে করে আমাদের পরিবেশ প্লাস্টিক দূষণ থেকে রেহাই পাবে। তাহলে চলুন জেনে নি প্লাস্টিক ব্যবহারের সতর্কতার কিছু বিষয়।
প্লাস্টিক-পরিবেশের-জন্য-ক্ষতিকর-কেন
  • প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে আমাদের কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
  • আমাদের আশেপাশে যে সব প্লাস্টিক পড়ে থাকে তা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করা উচিত। এবং অন্যকে উৎসাহ করতে হবে।
  • প্লাস্টিকের থালা-বাসন ব্যবহার করার বদলে স্টিলের বা মাটির অথবা কাঁচের থালাবাসন ব্যবহার করতে হবে।
  • বাচ্চাদের প্লাস্টিকের খেলনা পাতি কিনা বাদ দিয়ে কাঠের অথবা বাঁশের খেলনা বাতি কেনা উচিত।
  • তাছাড়া ঘরে প্লাস্টিকের জিনিস ব্যবহার করার পরিবর্তে কাঠের জিনিসপাতি ব্যবহার করা উচিত।
  • কোন কিছু রাখার জন্য প্লাস্টিকের বক্স বাদ দিয়ে কাচের বক্স ব্যবহার করা উচিত।
  • পানি খাওয়া অথবা পানি রাখার জন্য প্লাস্টিকের বোতল বাদ দিয়ে ফিল্টার ব্যবহার করা দরকার।
  • প্লাস্টিক ব্যবহার করার বদলে বিকল্প কিছু ব্যবহার করা উচিত। এবং এই সম্পর্কে পাড়া প্রতিবেশী অথবা বন্ধু বান্ধবীদের সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলতে হবে।

প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন

প্লাস্টিক আমাদের দৈনন্দিন দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই সুবিধা ভোগের পাশাপাশি এটি আমাদের পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। নিচে প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য কেন ক্ষতিকর সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্লাস্টিক এমন একটি বস্তু যা খুব সহজে পঁচে না। এক কথায় পচনশীল নয়, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে কিছু কিছু প্লাস্টিক এত শক্তিশালী যে ৫০০ থেকে ১০০০ বছর ঐরকম থাকে। যা ধীরে ধীরে একটি প্লাস্টিকের স্তুপ তৈরি হয় যার ফলে মাটি দূষণ হয় এবং গাছপালা জীবজন্তুর অনেক ক্ষতি হয়। প্লাস্টিক পানি দূষণ এবং বায়ু দূষণ করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। 

তাছাড়াও এ প্লাস্টিক নদী বা পুকুরে জমা হওয়ার কারণে এক সময় পুকুরে থাকা জীবজন্তু অথবা মাছ প্লাস্টিক কে খেয়ে ফেলে যার ফলে এক পর্যায়ে মরে যায়। সেই মাছ মানুষ খেলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। প্লাস্টিক বানানোর জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি অধিক পরিমাণে প্রয়োজন পড়ে। এইজন্য একটা সময় প্লাস্টিক পরিবেশের উপর ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। 

প্লাস্টিক আশেপাশের জমিতে জমে থাকার কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হয় যার ফলে জমির ফসল ফলন অনেকাংশে কমে যায়। যা এক সময় অর্থনীতিতে ঘাটতি পরে। এই জন্য দিনে দিনে দ্রব্যমূল্য দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া এখন প্রায় দোকানপাটে অথবা অনলাইন সবগুলোতে প্লাস্টিকের ব্যবহারের প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

বিভিন্ন ধরনের ওয়ান ওয়ান টাইম বক্স বা পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। এজন্য আমাদের পরিবেশের উপর প্লাস্টিক আরো মারাত্মক ক্ষতি করছে। যার প্রভাব পরিবেশের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।

লেখকের মন্তব্য প্লাস্টিক পরিবেশের উপর কিরূপ প্রভাব ফেলছে

সম্মানিত পাঠক আপনারা এতক্ষণ প্লাস্টিক পরিবেশের উপর কি কি ক্ষতি করে। তাছাড়া প্লাস্টিক থেকে পরিবেশকে রোধ করার উপায়। প্লাস্টিক ব্যবহার করার সতর্কতা অবলম্বন করা। প্লাস্টিক ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে বিস্তারিত জেনেছেন। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সতর্ক হওয়া এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করা উচিত নয় এ বিষয়গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। 

প্লাস্টিক আমাদের বিভিন্ন উপায়ে ক্ষতি করছে এ বিষয়টি সবার জানা উচিত। প্লাস্টিক আমাদের কি কি ক্ষতি করে এবং এই ক্ষতি কিভাবে রোধ করবেন এ বিষয়ে জানতে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়লে অবশ্যই আপনি উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন। আর আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। 

এমন তথ্যমূলক নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। নিজের সুস্থ থাকুন নিজের পরিবার এবং পরিবেশকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। আপনার মহামূল্যবান সময় নষ্ট করে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জুথি আর্টস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url