জাম খাওয়ার ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

জাম খাওয়ার ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের এই আর্টিকেলে জাম হলো গ্রীষ্ম মৌসুমের ফল যা অন্যান্য ফলের তুলনায় সেরা একটি ফল। এই ফলটি গ্রীষ্মকালের হলেও প্রায় জুন-জুলাই আগস্ট মাস পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়। জামের বিচি জামের ছাল জামের পাতা সবই ঔষধি বলে গণনা করা হয়েছে।
জাম-খাওয়ার-৩০-টি-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-আলোচনা
জামে খুব অল্প পরিমাণে ক্যালরি থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। জামের গায়ে রং বেগুনি কালো কারণে জাম বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ঔষধ বানানোর ক্ষেত্রে জামের প্রয়োজন পড়ে। তবে জাম যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনি এর বেশ কিছু উপকারী দিক রয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ জাম খাওয়ার ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি শুনলে অবাক হবেন যে বাংলাদেশে সব ধরনের ফলের চেয়ে অন্যতম সেরা ফল হল জাম। তবে এই ফলটি বাহিরের দেশগুলোতেও পাওয়া যায় তবে আলাদা আলাদা নামে সবার কাছে পরিচিত। জামের বৈজ্ঞানিক নাম হলো syzygium cumini জাম বাংলাদেশ ছাড়া ও ভারত পাকিস্তান ইন্দোনেশিয়া শ্রীলঙ্কায় আরো বিভিন্ন দেশে জামের চাষ করা হয়। তবে ওই দেশগুলোতে যাদের নাম হয়তো ভিন্ন নামে প্রকাশিত। 
এই পরিবারভুক্ত একটি ফল ও ইংরেজী নাম Jambul, Malabar Plum, Jamun; তাছাড়াও বাংলাদেশেও বিভিন্ন জেলায় জামের অনেক বেশি পরিমাণে চাষ করা হয়, ঢাকা কুমিল্লা গাজীপুর নোয়াখালী চট্টগ্রাম সিলেট ময়মনসিংহ দিনাজপুর টাঙ্গাইল ইত্যাদি এসব জেলাতে প্রচুর পরিমাণ জামের চাষ করা হয়ে থাকে। জামের যেমন নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তাহলে চলুন আমরা জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

জাম খাওয়ার উপকারিতা

গ্রীষ্ম মৌসুমীর সুস্বাদু বেগুনি কালো রঙের এই ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর পুষ্টি গুণে সমাহার রয়েছে। এই জন্য এই ফলটিকে এই মৌসুমের সেরা ফল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই ফলটি আমাদের শরীরে আশ্চর্যজনক উপকার করে থাকে। আপনি যদি এই ফলটি নিয়ম অনুযায়ী পরিমাপ মতো খেতে পারেন তাহলে এই ফলটি থেকে আপনি শুধু উপকার আর উপকারী পাবেন। তাহলে চলুন জাম খাওয়ার উপকার সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নিই।

  • নিয়মিত জাম খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকার নিয়ে আসে।জামে থাকা এন্টি ডায়াবেটিক প্রোপার্টিজ এর কারণে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • জামাই রয়েছে অধিক পরিমানে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ভিটামিন সি লৌহ যা মানব শরীরের হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। এই জন্য জাম আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী।
  • যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে তারা নিয়ম করে জাম খেতে পারেন। জাম জন্ডিস নিরাময় করতেও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • জামে বিভিন্ন ধরনের এসিডের উপাদান রয়েছে যা শরীরে বিষাক্ত ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
  • জামে আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এর উপাদান যা আমাদের শরীর ব্যাকটেরিয়ার সাথে যুদ্ধ করে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। জাম খেলে ত্বক ভালো থাকে।
  • নিয়মিত জাম খাওয়ার ফলে জাম ক্যান্সার প্রতিরোধে করে প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে।
  • জাম খেলে রক্তশূন্যতা দূর করে এবং রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  • জামে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদান।এজন্য নিয়মিত জাম খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • শরীরে কোলেস্টেরলের মাথায় নিয়ন্ত্রণ রাখে। এবং হৃদরোগ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত জাম খাবেন কারণ জামে পটাশিয়ামের উপাদান রয়েছে,যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • জাম খাওয়ার ফলে দাঁত ও দাঁতের মাড়িকে মজবুত করে।
  • যা আমাদের শরীরে এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে সর্দি কাশি জ্বর নিরাময় করতে সাহায্য করে।
  • জাম লিভারের জন্য খুব উপকারী নিয়মিত জাম খেলে কিডনি ভালো থাকে।
  • জাম খেলে চুল ঘন ও লম্বা করতে সাহায্য করে।
  • ওজন কমাতে জাম খুব কার্যকরী। নিয়মিত ডায়েট করেন আপনাদের ডায়েট চাটে জাম রাখতে পারেন।
  • নিয়মিত জাম খাওয়ার ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

জাম খাওয়ার অপকারিতা 

যা মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কারণ জামে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা মানুষ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ জাম খেলে আমাদের শরীরে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাহলে চলুন সেই বিষয় গুলো কি কি সে সম্পর্কে জেনে নিই।

  • অতিরিক্ত জাম খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা গ্যাস,বা বদ হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • খালি পেটে জাম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। প্রচন্ড পেট ব্যথা হতে পারে। সেই সাথে মাথা ঘোরা বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে জাম খাওয়ার ফলে পড়ে এলার্জির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
  • অতিরিক্ত জাম খাওয়ার ফলে মুখে অরুচি ভাব আসে যার ফলে কোন খাবারে স্বাদ লাগেনা।
  • ছোট বাচ্চাদের অতিরিক্ত জাম খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত জাম খাওয়ার ফলে গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • সম্মানিত পাঠক, আশা করছি আপনারা জাম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন, আর একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন ছোট বাচ্চাদের অতিরিক্ত পরিমাণ জাম খাওয়া থেকে বিরত রাখবেন।
  • জামের বীজ চুর্ণ খাওয়ার নিয়ম
  • আমরা এতক্ষণ জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন করেন জামের বিচি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আমরা সবাই জানি জাম খুবই উপকারী একটি ফল তবে জামের বিচি গাছের পাতা জামের গাছের ছাল সবাই উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জামের বিচি ওষুধ হিসাবে খুব ভালো কাজ করে। চলুন এবার দেখে নেই আপনি কিভাবে জামের বিচির গুড়া বা চুর্ণ করে খাবেন।
  • প্রথমেই আপনাকে জাম সংগ্রহ করতে হবে এরপরে সুন্দর করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপরে বীজগুলো ছাড়িয়ে নিন।
  • জামের বীজ গুলোকে এমন ভাবে ধুয়ে নিন যাতে জামের বীজের গায়ের অংশে আঁশ লেগে না থাকে।
  • তারপরে বীজগুলোকে একটি পরিষ্কার কাপড় কয়েকদিন রোদে শুকিয়ে নিন।
  • এবার বীজের বাহিরের অংশটিকে রোদে আর ৩ থেকে ৪ দিন ধরে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
  • জামের বীজ শুকানো হলে এবার ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন করে গুঁড়ো করে নিন।
  • এবার জামের বীজের গুড়ো গুলো ভালো করে চালুনি দিয়ে চেলে নিন।
  • তারপরে বীজের গুঁড়ো একটি পরিষ্কার বায়ুরোধক বয়ামে রেখে দিন।
  • এবার আপনার জামের বীজ গুড় তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই গুড়ে আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই চামচ পরিমাণ জামের বীজ গুড়ো নিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এতে আপনার মানব শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধক করবে।
  • জামের বীজের গুঁড়োটি ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খুব ভালো, এটি খেলে ধীরে ধীরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে।
  • জামের এই নিজের গুঁড়ো গর্ভবতী মায়েরাও নিয়মিত খেতে পারবেন এতে কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
জাম-খাওয়ার-৩০-টি-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-আলোচনা

জাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম

জাম আমাদের সকলের জন্যই খুব উপকারী একটি ফল। যা আমাদের শরীরে ঔষধের মত কাজ করে। কেননা জামে রয়েছে মহা ঔষধি গুনাগুন। কিন্তু জাম খাওয়ার সঠিক সময় রয়েছে সে সময় অনুসরণ করে জাম খেলেই আপনি ঔষধি গুনাগুন পাবেন। তাহলে চলুন জাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন।
  • সকালে নাস্তার পরেঃ আপনি যেকোনো ফলই সকালে হালকা কিছু খেয়ে এর কিছুক্ষণ পরে খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্য উপকার হবে। এবং কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
  • তাছাড়াও আপনারা ভরা পেটে কোন ধরনের ফল খাওয়া উচিত নয়। অন্তত খাওয়ার এক ঘন্টা পরে ফল খাওয়া উচিত কিংবা এক ঘন্টা আগে।
  • দুপুরে খাবার খাওয়ার আগেঃ আপনারা চাইলে দুপুরে খাবার খাওয়ার আগে অথবা গোসলের আগে চেষ্টা করবেন ফল খাওয়ার এতে আপনারা স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন।
  • বিকালের নাস্তায়ঃ আপনারা বিকালের নাস্তায় বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন বিশেষ করে জাম খেতে পারেন।
  • রাতে খাবারের আগেঃ আপনারা চেষ্টা করবেন রাতে খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা আগে ফল খাওয়ার এতে আপনার ফল খাওয়ার উপকারে আসবে এবং রাতে ঘুম ভালো হবে।
  • জামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ফাইবার সহ আরো নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। সুস্থ থাকতে আপনার নিয়মিত এই ফলটি খেতে পারেন।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম একটি খুব উপকারী ফল। ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি বেশি জাম খাওয়া উচিত।
  • এবং গর্ভাবস্থায় আপনারা জাম খেতে পারেন তবে উপরের নিয়ম অনুসারে খাবেন তাহলে কোন সমস্যা হবে না।

জাম গাছের ছালের উপকারিতা

জাম ও জামের বিচি যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী তেমনি জাম গাছের ছালো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। যার ঔষধি গুনাগুনের শেষ নেই বললেই চলে। জাম গাছের ছাল আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকারে আসে। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে রোগ নিরাময় হয়। তাহলে চলুন জাম গাছের ছাল আমাদের শরীরের কি কি উপকার করে সে সম্পর্কে জেনে আসি।

  • আমাদের শরীরে অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং অনেক কিছু করার পরেও সে ক্ষত সেরে উঠেনা। এইজন্য জাম গাছের ছাল গুড়ো করে ক্ষতস্থানে লাগালে। দেখবেন খুব দ্রুত সেই ক্ষত বা ঘা সেরে উঠেছে।
  • আমরা অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকি।অনেক সময় আমাদের দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ে। এই সমস্যা নিরাময় করতে জাম গাছের ছাল গুড়া করে নিয়মিত কয়েকদিন দাঁত মাজলে খুব উপকার পাবেন।তবে এটিতে দাঁত মাজার ফলে দাঁতের ছোপ দাগ পড়া সম্ভব না আছে। কিন্তু দুই এক দিন দাঁত মাজলে আরে সমস্যা হবে না। আপনারা চাইলে জামের পাতার গুড়া এর সাথে সমান ভাবে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
  • যদি কারো আমাশয় বা রক্ত পায়খানা হয় তবে জাম গাছের ছালের রস এক থেকে দুই চামচ এবং ছাগলের দুধ মিশিয়ে খেয়ে নিন। তাহলে দেখবেন আপনার সমস্যা দূর হবে।
  • আমরা অনেক সময় বাচ্চাদেরকে নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ি। অনেক চিকিৎসা করার পরেও বাচ্চার পেটে সমস্যা ভালো হয় না, বাচ্চা সব সময় অসুস্থ থাকে। এইজন্য আপনারা জাম গাছের ছালের গুড়া ৮ থেকে ১০ ফোটা আসল ঘি এবং অল্প পরিমাণে চিনি দিয়ে মিশিয়ে খাওয়ালে দেখবেন বাচ্চার শরীর এবং পেটের সমস্যা একদম ভালো হয়ে গিয়েছে।
  • মুখের দুর্গন্ধ কমায়ঃ জাম গাছের ছালের রস পেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। এবং দাঁতের হলুদ দাগ দূর করতে নিয়মিত জাম গাছের ছালের গুঁড়ো দিয়ে দাঁত মাজতে পারেন।
  • আশা করছি আপনারা জাম গাছের ছালের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সমস্যাগুলো হলে এ নিয়ম অনুসরণ খাবেন তাহলে সমস্যা দূর হবে।

গর্ভবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছেন আবার অনেকেই বলেন গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া উচিত নয়। আপনারা কি জানেন গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। একজন গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য জাম অত্যন্ত উপকারী। বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে এবং শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করতে প্রতিনিয়ত একজন মায়ের জাম খেলে খুব ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।
জাম-গাছের-ছালের-উপকারিতা
জামের মধ্যে রয়েছে আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা গর্ভবতী মায়ের নবজাতক শিশুর বিকাশ বৃদ্ধি করতে কাজ করে। গর্ভাবস্থায় জাম খেলে কোন ক্ষতি নেই বরং রয়েছে শুধু উপকারিতা। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া উচিত নয় সামান্য ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে চলুন গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্ক জেনে আসি।

  • জামে বিভিন্ন ধরনের এসিড রয়েছে। যেমন ম্যালিক অ্যাসিড, গ্যালিকা অ্যাসিড অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ম্যালেরিয়া ইত্যাদি যা গর্ভবতী মায়ের শরীরে ইনফেকশন হতে দেয় না।
  • নবজাতক শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বিকাশেভিত্তি করতে সাহায্য করে।
  • গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের ক্যালসিয়াম ভিটামিন আয়রন পটাশিয়াম খাওয়া উচিত এতে শিশুর হাড় শক্ত ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • তাছাড়াও জামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এর উপাদান নবজাতক শিশুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • জাম খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। এজন্য গর্ভবতী মায়েদের প্রতিনিয়ত ১৫ থেকে ২৫ টি জাম খাওয়া উচিত। এটা শরীরের সকল পুরুষের ঘাটতি পূরণ করে এবং গর্ভবতী মা ও শিশুকে ভালো রাখে।

লেখকের শেষ কথা জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে

জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন। তবে জামির বিচির উপকারিতা জাম গাছের ছালের উপকারিতা এবং পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা অবগত হয়েছেন। জাম খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ জাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। জাম খাওয়ার সম্পূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। 

এতক্ষণ আপনার মহামূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তবে এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। এবং কমেন্ট বক্সে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যকে সুস্থ রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময় ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জুথি আর্টস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url